মির্জাগঞ্জে ঘুর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে বাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দী শতাধিক পরিবার

মির্জাগঞ্জে ঘুর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে বাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দী শতাধিক পরিবার


মির্জাগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় ফনির প্রবাবে মেহেন্দিয়াবাদ ও রামপুর  গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ৬টি গ্রাম। ভেসে গেছে এসব গ্রামের ঘের এবং পুকুরের মাছ, নষ্ট হয়েছে মরিচ, বাদাম, মুগ, মুশরি ডালসহ প্রায় ৩০০ একর জমির রবিশস্য পানিবন্ধি হয়ে পরেছে শতাধিক পরিবার।
শুক্রবার দুপুরে ফনির প্রভাবে দমকা হাওয়ার সাথে সাথে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি শুরু হয় গভীর রাতে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩/৪ ফুট উচু দিয়ে প্রবাহিত হয়। জোয়ারের তোরে রামপুর ও মেহেন্দিয়াবাদ গ্রামে  প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করে। এতে পানি বন্ধি হয়ে পরে শতাধিক পরিবার। মেহেন্দিয়াবাদ গ্রামের মো. রুহুল আমিন জানান, ফনির প্রভাবে বেড়িবাঁধ উপচে এবং ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে আমাদের সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। এদিকে রামপুর গ্রামের মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, রামপুর সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা থেকে রামপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত থেকে প্রায় ২০০ মিটার বেড়িবাঁধ  ভেঙ্গে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে রামপুর ও সন্তোষপুর গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পরেছে।
সারা দেশের ন্যায় মির্জাগঞ্জেও এবার সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা নেয়ায় ফনির আঘাতে কোন প্রাণহানি ঘটেনি। তবে বহু গাছপালা, ও কিছু কাচাঁ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।  
মির্জাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল জাকী জানান, এ বার ঘুর্ণিঝড় ফনি আঘাত হানার পূর্বে নজিরবিহিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৮ হাজার ৫শত লোককে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তাদের শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।